বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা
(১৫ অক্টোবর) মঙ্গলবার ঠিক বিকেল ৪টায় ধর্মতলা চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে একদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কার্নিভাল ঠিক বিকেল সাড়ে চারটায়, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে।
অন্যদিকে আর জি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে, এবং জুনিয়র ডাক্তারদের দশ দফা দাবী ও জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনকে সামনে রেখে, জুনিয়র ডাক্তার সহ নাগরিকরা একসাথে, বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল করে, ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং থেকে শুরু করে মেট্রো চ্যানেল, রানী রাসমণি রোড পর্যন্ত, দ্রোহের কার্নিভাল উৎসব ও মানববন্ধন করলেন, কয়েক হাজার নাগরিক ধর্মতলা চত্বরে জমায়েত হয়েছিলেন। তাহারা কোন আইনকেই মানলেন না, সারা ধর্মতলা চত্বর স্তব্ধ করে দিয়েছেন, ঘন্টার পর ঘন্টা বাস-যাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাস আটকে পড়েছিল।
এমনকি প্রশাসনের উচ্চপদস্থ অফিসাররা যখন এই উৎসবের সামনে এসে কিছু বলার চেষ্টা করেন, জনগণ তাদেরকে বিভিন্নভাবে আক্রমণ করেন এবং গো ব্যাক বলে স্লোগান দেনঅ। শুধু তাই নয় তাদেরকে চটি চাটা থেকে শুরু করে, গোলামী করার জন্য কত মাইনে বেড়েছে সেটাও তারা স্লোগানের মধ্য দিয়ে তুলেন, এবং বলেন যদি শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানের যদি কিছু হয়, আমরা বুঝে নিতে দ্বিধা করবো না। বাধ্য হয়ে উচ্চ পদস্থ অফিসাররা ওখান থেকে সরে যান, জনগণ তাদের দিকে গো ব্যাক গো ব্যাক বলতে বলতে ধেয়ে যান।
ঢাকের বাদ্যিক তালে তালে, এবং ন্যায় বিচারের দাবি নিয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে তাহারা দ্রোহের কার্নিভাল উৎসব ও মানববন্ধন সম্পূর্ণ করলেন।
কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল- ধর্মতলা চত্বর ১৬৩ ধারা সহ ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে আজকের জন্য। কেউ পাঁচ জনের বেশি থাকতে পারবেনা, মিছিল সভা সমাবেশ এমন কি ধর্ণা পর্যন্ত করতে পারবে না। শুধু তাই নয় লাঠি বা অন্য আঘাতকারী কিছু বহন করতে পারবে না। জনগণ এই সকলের কোন কিছু তয়াক্কা করলেন না। দ্রোহের কার্নিভাল উৎসবে মেতে উঠেছিলেন। অনেক পুলিশ মোতায়েন করলেও তাহারা ছিল নির্বিকার।
আজকের দ্রোহের কার্নিভাল উৎসব ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- joint platform of doctors, সচেতন নাগরিক সমাজ, রিক্সা শ্রমিক, ব্যাংক বাঁচাও দেশ বাঁচাও, যৌনকর্মী, ট্রান্সপোর্ট আর ক্যুইয়ার মানুষেরা, প্রতিবন্ধী সম্মিলনী, টিচার্স ফর আর জি কর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর পুরাতনীরা।
সামাজিক স্বাস্থ্যকর্মী, দক্ষিণ কলকাতা সাংস্কৃতিক মঞ্চ, বারাসত সমন্বয়, তিলোত্তমা বাহিনী সিঁথি সহ আরো বহু সংস্থা। সবাই একত্রিত হয়ে তাদের বোনের ন্যায় বিচার, দোষীদের শাস্তি, ১০ দফা দাবি পূরণ, তাদের কার্নিভাল হোক বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে।